সি,বি,এন স্পেশাল
কখনো কি জানতে পেরেছেন এইসব প্রলয়ঙ্করী সাইক্লোনের, যেটি ধংশ করে দিচ্ছে হাজার ঘর বাড়ি, বিলীন করে দিচ্ছে বসতভিটা, আর নির্বিচারে ঘটাচ্ছে প্রাণহানি কিভাবে নামকরণ হয়।
ইন্টারনেট অবলম্বনে আজ তা বর্ননা দেওয়া হল।
সাইক্লোনের নামকরণ শুরু হয়েছে বেশ কিছু বছর যাবত।
এ নামগুলো মুলত দেওয়া হয় যাতে সাইক্লোনটিকে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করা যায় এবং সর্তকতা অবলম্বন করা যায়।
সাইক্লোনের ধরণ অনুযায়ী পৃথিবীর ভৌগলিক অবস্থান কে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। অঞ্চলগুলো হল, আটলান্টিক মহাসাগর, পূর্ব প্রশান্ত, পশ্চিম প্রশান্ত, উত্তর ভারত,দক্ষিন ভারত মহাসাগর,অস্ট্রেলীয় সাগর ইত্যাদি।
হারিকেন, টাইফুন আর সাইক্লোন একই শব্দ হলে ও এদেরকে অঞ্চলবেধে ডাকা হয়, যেমন আমেরিকায় হারিকেন, উপমহাদেশে সাইক্লোন আর জাপানের দিকে টাইফুন।
১৯০০ সাল থেকে
প্রথম প্রথম যে অঞ্চলের উপর দিয়ে ঘূর্নিঝর বয়ে যেত সেইসব এলাকার নাম অনুসারে হত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত বহমান ছিল, পরবর্তীতে নারীদের নামে নামকরণ করা হল যেমন,এলিস,বারবারা,কেরল,ডলি,এডনা,ফ্লুরা,কাতরিনা ইত্যাদি।পরে ১৯৮০ সাল থেকে শুরু হয় পুরুষদের নামে নামকরণ।
এসব নামের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হল বিশ্ব আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা দ্বিবার্ষিক সম্মলনে এ বিষয়ে আলোচনা করে । এতে প্রতিটি সাইক্লোন প্রন দেশকে ১০ টি করে নাম জমা দিতে বলা হয়। তার থেকে ৮ টি নাম সিলেক্ট করা হয়। এসবের সাথে আছে কেন্দ্রীয় সাইক্লোন কমিটি। তবে নির্বাচিত ৮ নামের মেয়াদ ১ বছর, তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বছরের প্রথম হারিকেনকে A দিয়ে দ্বিতীয় হারিকেনকে B দিয়ে সিলেক্ট করা হয়। ভারতের নয়া দিল্লীতে আমাদের আঞ্চলিক অফিস, সাথে আছে আরো অন্যান্য দেশ,ভারত,মালদ্বীপ, মায়ানমার,ওমান,পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ড। এই নাম অনুসারে ২০০৪ সালে ভারতে আঘাত হানা প্রথম সাইক্লোন এর নাম ছিল, অনিল, দ্বিতীয়টির নাম অগ্নি। এরপর থেকেই আর,,এস,এম, সি কতৃক অনুমোদিত নাম প্রকাশ করা হয়।
যেহেতু বাংলাদেশ তাদের দেওয়া ৮ টি নাম আগেই জমা দিয়েছে তা থেকেই এসব, ‘মোরা’ ‘সিডর’ ‘ মহাসেন’ নাম সিলেক্ট করে বার্তি নজর দিয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।